 |
জালাল ইউনুস |
স্পোর্টস রিপোর্টার লন্ডনে চলছে আইসিসির বার্ষিক সভা। আগামী ২৩ জুন শেষ হবে এ সভা। সংস্থাটির গঠনতন্ত্র, আর্থিক কাঠামো বিষয়ে আলোচনা হতে পারে সভায়। তবে আইসিসির এ সভাকে ঘিরে বাংলাদেশ আশাবাদী হচ্ছে আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বাড়ানোর বিষয়ে। বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন, ইংল্যান্ড, ভারতের মতো বড় দেশের সঙ্গে খেলা বাড়ানোর চেষ্টা করবে বিসিবি। অতীতের মতো বাংলাদেশের সঙ্গে খেলা অলাভজনক বলার সুযোগ নেই বড় দলগুলোর জন্য। কারণ এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও দেখা গেছে বাংলাদেশের ম্যাচে অনেক দর্শক হয়। ম্যাচও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল জালাল ইউনুস সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ইংল্যান্ড ও ভারতের মতো দেশরা আগে বলতো ওদের দেশে সফর করলে বাণিজ্যিকভাবে তত একটা লাভজনক না। কিন্তু বিগত তিন-চার বছরে আমাদের পারফরম্যান্স দেখেছেন। আর পারফরম্যান্স দিয়েই কিন্তু আমরা এতো দূর এসেছি। আমরা আর আগের অবস্থানে নেই। র?্যাংকিংয়ে আমরা মাঝামাঝি আছি। তাই আমরা দাবি করতে পারি যে তাদের থেকে সিরিজ নিতে পারি।’ ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনালে খেলেছে মাশরাফির দল। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন ভেন্যুতে টাইগারদের খেলায় প্রচুর দর্শক হয়েছে। দেশের বাইরেও বড় দলগুলোর সঙ্গে প্রায়ই জয় পাচ্ছে বাংলাদেশ। আর তাই ইংল্যান্ডের মাটিতেও বাংলাদেশের ম্যাচ এখন বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক বলে মনে করেন জালাল ইউনুস। বিসিবির এ পরিচালক আরো বলেছেন, ‘এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ খেললো, সাড়া স্টেডিয়ামে আপনি দর্শক দেখেন আমাদের। যে পরিমাণ সমর্থন, এই সমর্থন ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসলে এতোটা পেত না। ইংল্যান্ডে বাংলাদেশ সফর করলে তারা বুঝতে পারবে বাংলাদেশের অবস্থানটা কোথায়। এখন সফর করলেই বুঝা যাবে এটা বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে কি হবে না। আমরাই এটা বুঝিয়ে দিতে পারবো।’ আইসিসি সভায় অংশ নিচ্ছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। তারাই দ্বিপাক্ষিক সিরিজের আলোচনা করবেন অন্য বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে। জালাল ইউনুস বলেন, ‘এই ফোরামে সবসময়ই আলাপ আলোচনার সুযোগ রয়েছে। এক দেশ আরেক দেশের সঙ্গে কথা বলে দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলো ঝালিয়ে নিতে পারে। আমরা অনেক দিন থেকে ভারতে সিরিজ পাচ্ছি না। ইংল্যান্ডেও সিরিজ হচ্ছে না। আগামী এফটিপিতে ইংল্যান্ডের কোন সিরিজ নেই, ভারতেরও নেই। যেহেতু এখানে সব দেশের মেম্বাররা থাকবে। সিইওরা থাকবে, প্রেসিডেন্টরাও থাকবে। তাই এটা একটা সুযোগ সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করার। এই ধরনের বার্ষিক সভায় এক দেশ আরেক দেশের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই এফটিপি ঠিক করে। আমাদের জন্য একটা সুযোগ আছে।’ আইসিসির সভার সম্ভাব্য আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে বিসিবির এ পরিচালক বলেছেন, ‘মূলত এবারের আইসিসি সভায় ওদের গঠনগত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। গত কয়েকটা সভায় ওদের গঠনতন্ত্রে কিছু পরিবর্তন এসেছে। ওইগুলো অনুমোদনের ব্যাপার আছে। হয়তো কিছু স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ হতে পারে। এছাড়া আইসিসি ওমেন্স উইংয়ের একজন পরিচালক ঢোকানোর কথা আছে। এছাড়া আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের টেস্ট স্ট্যাটাসের একটা ব্যাপার আছে।’
No comments