ঈমান ধ্বংসের চক্রান্ত
আল মামুন রাসেল
পেঠের ক্ষুধা নিবারনের চেয়ে অধিক প্রয়োজন একজন মুসলমানের নিকট ঈমান রক্ষা করা। আজ কান পাতলেই শুনা যায় বিশ্বের নানাস্থানে এমনকি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় চলছে মুসলমানেদের ঈমান হরনের চেষ্টা। বিজাতিরা মুসালমানদের আর্থিক দুর্বলতাকে ঈমান হরণের সুবর্ণ সুযোগ করে নিয়েছে। তারা দুর্বল মুসলমাদেরকে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে তাদের থেকে ঈমানটুকু কিনে নিচ্ছে। যখন তারা দেখে বন্যায় কিংবা নদীর তীর ভেঙ্গে মুসলমানদের বাড়ীঘর সম্পদ সম্পত্তি সবকিছু নষ্ট হয়ে যায় এমতাবস্থায় তারা দুর্বল মুসলমানদের পাশে দাঁড়ায় এবং তাদের আর্থিক সাহায্য করে। এক পর্যায়ে তাদের অধীনে নিয়ে আসে এবং তাদের নিজেদের ধর্মের অনুসারী করে নেয়। এমতাবস্থায় আমাদের করণীয় হল, যে সমস্ত বন্যা দুর্গত এলাকা এবং বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষগুলো রয়েছে তাদের বিপদেআপদে তাদের পাশে দাঁড়ানো। শুধু যে টাকা পয়সা দিয়েই সাহায্য করতে হবে তা নয় বরং তাদেরকে ভালোবাসা ও মূল্যবান পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করা এবং সান্ত¦নাবাণী ও কর্মকা- দিয়ে পাশে দাঁড়ানো। মনে করুন যে আমাদের দেশে ভারত থেকে একটি নদী এসেছে সে নদীর তীর ভেংগে গেছে ওরা রেল লাইনের পাশে বস্তি বেঁধে ওখানে তারা বসবাস করছে।তাদের কেউ রিক্সা চালিয়ে, কেউবা রুজে কাজ করে বা মাঠি কেটে জীবিকা নির্বাহ করছে বড় পরিতাপের বিষয় হল- তারা এত কঠোর পরিশ্রম করে কত টাকাই বা পায় দুশো চার শো! এত পরিশ্রমে যদি এই কয়েক টাকা পায় এর চেয়ে যদি তাদেরকে অল্প পরিশ্রম করে বা বিনা পরিশ্রমে কোটি টাকা পায়তাহলে কেইবা ঈমান ত্যাগ করবেনা? এত অসহায় অবস্থায়। অবশ্যই তারা করবে যদি তাদের এত বিপদের সময় ও আমাদের থেকে কেউ তাদের পাশে না থাকে।
আর যদি আমাদের মধ্য থেকে কেউ পাশে না থাকার কারণে এত গোলো মানুষ ধর্মান্তর হয়ে চিরস্থায়ী জাহান্নামী সাব্যস্থ হয়ে যায়।তাহলে তাদের সাথে আমাদের মধ্যে যারা সমত্যবান তাদের মহান প্রভু ছাড়বেনা কেননাকোরআনের ভাষায়- জান্নাতীরা মুজরিমদেরকে জিঙ্গাসা করবে কিসে তোমাদের কে জাহান্নামের উদ্ভদ্ব করেছে?তারা বলবে আমরা নামায পড়তামনা। এবং অভাব গ্রস্তদের সাহায্য করতাম না। (সুরা মুদ্দাসসির ৪১-৪৫ আয়াত)
কোরআনের ভাষ্যমতে আমরা যদি অভাবগ্রস্তদের পাশে না দাড়াই এবং তাদের প্রতি সাহায্যের হাত প্রশারিত না করি তাহলে আমাদের কেও জাহান্নামের আগুনে জলতে হবে।অতএব সকল মুসলমানই একে অপরের ভাই তাদের দেহ মন একটাই যদি তার একটি অংশকে কষ্ট দেওয়া তাহলে দ্বিতীয় অংশটিও কষ্ট পায়। যেমন- আল্লামা শেখ সাদী রহ. তার গুলিস্তায় কবিতার ভাষায় বলেন- ‘আদম সন্তানেরা একে অপরের অঙ্গ সমতুল্য’ । কেননা সবার জন্ম একই মূল থেকে (অর্থাৎ আদম আ. থেকে)
যদি কালের চক্র কোনো একটি অঙ্গকে কষ্ট দেয় তাহলে অন্য অঙ্গগুলোও অস্থির হয়ে উঠে।
যদি তুমি অন্যের দুঃখে দুঃখিত না হও’ তাহলে তোমার নাম মানুষ রাখাই উচিৎ নয়।
সুতরাং মুসলমানদের বিপদে মুসলমানদেরই এগিয়ে আসা উচিৎ-কারণ যদিও অমুসলিমরা বাহ্যিক ভাবে মুসলমানদেরকে সাহায্য করে-তাদের এই সাহায্য ও সহযোগির মাঝে লুকিয়ে থাকে যেন হাজারো চক্রান্ত।তারা মুসলমানদের থেকে অর্থ করি ধন দৌলত কিছুই চায়না। চায় শুধু মুসলমানদের ঈমানকে অপহোরণ করতে।এর জন্য সব সময় উত পেতে থাকে।তারা নিজেদের স্বার্থের জন্য কোন কিছু পরয়া করেনা।তাদের একদল মুসলিমদেরকে অত্যাচার করে আরেক দল সাহায্যের হাত বাড়ায়- অতএব এটাকে সাহায্য বলা যাবেনা বরং উল্টো কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা বলা যেতে পারে।
সুতরাং এ প্রকার কুক্ষাতো জালিম বিজাতিদের বিরুদ্দে সকলের সোজাক দৃষ্টি রাখা উচিৎ।আল্লাহ পাক আমাদের কে এসকল ফেতনা ফাসাদ থেকে রক্ষা করুক-আমিন।
যদি তুমি অন্যের দুঃখে দুঃখিত না হও’ তাহলে তোমার নাম মানুষ রাখাই উচিৎ নয়।
সুতরাং মুসলমানদের বিপদে মুসলমানদেরই এগিয়ে আসা উচিৎ-কারণ যদিও অমুসলিমরা বাহ্যিক ভাবে মুসলমানদেরকে সাহায্য করে-তাদের এই সাহায্য ও সহযোগির মাঝে লুকিয়ে থাকে যেন হাজারো চক্রান্ত।তারা মুসলমানদের থেকে অর্থ করি ধন দৌলত কিছুই চায়না। চায় শুধু মুসলমানদের ঈমানকে অপহোরণ করতে।এর জন্য সব সময় উত পেতে থাকে।তারা নিজেদের স্বার্থের জন্য কোন কিছু পরয়া করেনা।তাদের একদল মুসলিমদেরকে অত্যাচার করে আরেক দল সাহায্যের হাত বাড়ায়- অতএব এটাকে সাহায্য বলা যাবেনা বরং উল্টো কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা বলা যেতে পারে।
সুতরাং এ প্রকার কুক্ষাতো জালিম বিজাতিদের বিরুদ্দে সকলের সোজাক দৃষ্টি রাখা উচিৎ।আল্লাহ পাক আমাদের কে এসকল ফেতনা ফাসাদ থেকে রক্ষা করুক-আমিন।
No comments