“ইল্লাল্লাহ” যিকির নিয়ে বাড়াবাড়িটা নিতান্তই হিংসাত্মক, অন্যথায় জাহালত বলবো: জুনাইদ আল হাবিব
মালিবাগ জামিয়ার প্রাণ আল্লামা আবু সাবের আব্দুল্লাহ দা.বা.। হুজুরের ইলমী মাকান এবং ই’তিদালী মেজাজের কথা যারা জানেন, তারা হুজুরের সব কথাকেই ভিন্ন রকম গুরুত্ব দিয়ে থাকেন সব সময়। যে কোনো বিষয়ে মালিবাগের ছাত্ররা তো হুজুরের বক্তব্যটাকেই সর্বত্র প্রাধাণ্য দিয়ে থাকেন। যাই হোক, মূল কথায় আসি। হুজুরের দরসে বা কোনো মজলিসে ইল্লাল্লাহ যিকির বিষয়ে কেউ একজন ইশকাল করলো। তখন মিম্নুক্ত ই’তিদালী জবাবটা হুজুর দিয়েছিলেন।
(শব্দে শব্দে আমার মনে নাই। কিন্তু মূল বিষয়টা এমনি বলেছেন। আমার এমনি মনে আসতেছে।)
(শব্দে শব্দে আমার মনে নাই। কিন্তু মূল বিষয়টা এমনি বলেছেন। আমার এমনি মনে আসতেছে।)
“ইল্লাল্লাহ” যিকির আসলে মৌলিক কোনো যিকির নয়। তবে এর আছর(প্রভাব)টাই মৌলিক বিষয়। এর প্রভাব অনেক। তবে পূর্বে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর যিকিরও থাকতে হবে। বুযুর্গরা মুরিদদেরকে “ইল্লাল্লাহ” যিকিরের সবক দিয়ে থাকেন। সবক হিসাবে। বুযুর্গরা মুরিদদেরকে শুধু ইল্লাল্লাহ নয়, নানা রকমের মুবাহ সবক দিয়ে থাকেন। ইল্লাল্লাহও সেগুলোর অন্যতম একটা মুবাহ সবক। প্রশ্ন হলো, সাওয়াব হবে কি না? এই যিকিরের সওয়াব হওয়া না-হওয়া নিয়তের উপর নির্ভরশীল। ঠিক নাহু-সরফের মত। নাহু-সরফ পড়লে সাওয়াব হবে এটা এমন কোনো মৌলিক তা’লিম নয়। তবে যেহেতু এটা ওয়াসিতা(মাধ্যম), অর্থাৎ কুরআন-হাদীস তিলাওয়াতের জন্য নাহু-সফর দরকার। অনারবীদের জন্য কুরআন-হাদীস বুঝার ক্ষেত্রে অনেকাংশে নাহু-সরফের উপর নির্ভর করতে হয়। সে হিসাবে নাহু-সফর পড়লেও সাওয়াব হবে। নেক নিয়তের কারণে। অনুরুপ ইল্লাল্লাহর জিকির। “ইল্লাল্লাহ” মৌলিক যিকির না-হলেও নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছাবার জন্য বুযুর্গরা এর সবক দিয়ে থাকেন। তাই নেক ও সুন্দর নিয়তের কারণে “ইল্লাল্লাহর” জিকিরেও সাওয়াব হবে। ইনশাআল্লাহ।
No comments