ইজ্জত রক্ষায় কোরআনের অলৌকিক ক্ষমতা!
মাওলানা আরিফুল কাদের
কোরআনে পাকে আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেন- “নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি
এবং এর হেফাজতের দায়িত্ব আমার হাতে”।
ভারতীয় উপমহাদেশে পাকিস্তান ও ভারত নামে দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়। মুসলিম
জাতি যেতে থাকে পাকিস্তানে এবং হিন্দুরা যেতে থাকে ভারতে। এর মধ্যে
নন্দিনী ও গঙ্গার ভারত যেতে চিঠি আসে স্বদেশ ত্যাগকৃত আত্মীয়স্বজন থেকে।
এই ছোট্ট পরিবারটির সাথে গভীর সম্পর্ক ছিল মুসলিম পরিবার সাঈদের। সরল-সহজ
হিন্দু পরিবারটির ভারত যাওয়ার ঘটনাটি; বিশ্বাস করে বলল। মুসলিম নামধারী
মুনাফিক সাঈদের কাছে। কিন্তু বিশ্বাসঘাতক সাঈদের গভীর সম্পর্কের একমাত্র
কারণ ছিল সুন্দরী হিন্দু অসহায় নারী নন্দিনীর ভালবাসা। প্রেমিকাকে কাছে
না পাওয়ার চিন্তায় চিন্তিত হয়ে ফন্দি নিল শয়তানি কাজের। তাই সাঈদ সাহস
দিয়ে হিন্দু পরিবারটিকে পাকিস্তানে থাকতে অনুরোধ জানায়। কথায় বলা
হয়-“শত্রু যদি কোন উপকার করে, মনে করতে হবে এর পিছনে কোন কঠিন স্বরযন্ত্র
রয়েছে”। এই কথার প্রেক্ষিতে নন্দিনীর স্বামী গঙ্গার মনে সাঈদের উপকারকে
সন্দেহ করে; নিজের মাঝে সন্দেহটা সীমাবদ্ধ রেখে নন্দিনীকে গোপনে ভারত
যেতে প্রস্তুত থাকতে বলে। কোন একদিন গোপনে ভারত যেতে গাড়ি আনতে যায়
গঙ্গা। এই অবস্থায় সুযোগ বুঝে খানিকটা সময় পর নন্দিনীর কছে হাঁপিয়ে এসে
এই বিশ্বাসঘাতকটা বলে; দিদি দ্রুত বাহির হোন! দাদা আমাকে দিয়ে গাড়ি
পাঠিয়েছেন। সাঈদের প্রতি নন্দিনীর গভীর বিশ্বাস থাকায় বেড়িয়ে গেল তার
সাথে গাড়ি দিয়ে। এতক্ষনে স্টেশনে পৌছে যাওয়ার কথা। কিন্তু গাড়ি না থামায়
নন্দিনী কিছুটা ভয়ে বলে উঠে সাঈদ দাদা! স্টেশনের রাস্তা ছেড়ে কোথায়
যাচ্ছেন? প্রতারণার হাসি দিয়ে সাঈদ বলল, দিদি ভয় পাবেন না। আমরা যেন
পাকিস্তানি সৈন্যদের কাছে ধরা না পড়ি, সেজন্য এ দিক দিয়ে যাচ্ছি।
কিছুক্ষন পর গাড়ি থামলে। বিশ্বাসঘাতক সাঈদ বলে উঠে, আমার ভালবাসা, আমার
জান; নেমে এসো! নন্দিনীর কলিজাটা ভয়ে যেন মাটিতে পড়ে গেল। নামতেই টানতে
লাগে আপন দিকে, নিজের নফসের খুশিতে। নিয়ে গেল পাহাড়ের এক ঠিলার নিচে।
ইজ্জত রক্ষার জন্য ড্রাইভারের সাহায্য চেয়েও পার পেলনা নন্দিনী। কারণ
ড্রাইভারও সাঈদের সহকর্মী। যেভাবেই হোক বাঁচতে চেয়ে সাঈদের হাতে সজোরে
কামড় দেয়ায় সাঈদ শিকারকে ছেড়ে দিয়েও ভাবল, চলে যাচ্ছে; এ সুযোগ আর হবে
না। তাই দৌড়ে ধরে ফেলে নন্দিনীকে। কিছু না করতে পেরে নন্দিনীর হঠাৎ নজর
গেল ছোটকালে তার মার দেয়া তাবিজের দিকে। যা কিনা সূরা ইয়াসিনের তাবিজ
ছিল। সর্বশেষ বাঁচার পথ না পেয়ে নন্দিনী এ সূরা ইয়াসিনের দোহাই দিলে সাঈদ
ওটাকে দূরে ছুড়ে ফেলে এবং এই অসহায় মহিলাটিকে বিবস্ত্র করে। না করার কিছু
থাকায় গোপনে ডাকতে থাকে আল্লাহকে। হঠাৎ ফুটে উঠে সাঈদের কণ্ঠে আর্ত
চিৎকার। ঢলে পড়ে নন্দিনীর গায়ে। বিবস্ত্র নন্দিনী এ অবস্থায় দেখে একটি
বিষাক্ত সাপ সাঈদের পায়ে দংশন করছে। ঘটনা দেখে ড্রাইভার দৌড়ে এসে
তাবিজটিকে ভক্তি-সম্মানের সাথে বুকে জড়িয়ে ধরে, চুমু খায়। যে নন্দিনীকে
সাহায্য করতে অস্বীকার করেছিল। এখন হয়তো সাপের ভয়ে তার মাথার পরিহিত
পাগড়ি দ্বারা নন্দিনীর শরীর ঢেকে বাসায় নিয়ে গেলে। দেখতে না পেয়ে গঙ্গা
অস্থির হয়ে গেছে তার স্ত্রীর জন্য। দেখতে পেয়ে গঙ্গা বিলম্বের কারণ জানতে
চাইলে পিছনের সব ঘটনা খুলে বলে নন্দিনী। উভয়ের মনে শুরু হল ইসলামের প্রতি
ভালবাসার ঝড়। পাল্টে দেয় ভারত যাত্রার ইচ্ছা। উভয়েই বলতে লাগল কোরআন যদি
এভাবে ইজ্জত রক্ষার্থে সাহায্য করতে পারে। তাহলে আমাদের জীবনও কোরআনের
নূরে নূরান্বিত করতে চাই। চল যাই! কেন্দ্রিয় মসজিদের হুজুরের কাছে গিয়ে
ইসলাম গ্রহণ করে পূর্ণ মু’মিন হয়ে যাই।
প্রিয় পাঠক! সনাতন ধর্মে থাকা সত্ত্বেও যদি কোরআনের মালিকের সাহায্য চেয়ে
ইজ্জত রক্ষা করতে পারল। তাহলে আমরা মুসলিম জাতি হয়ে কেন মহান প্রভুর কাছে
আমাদের বিশেষ করে মহিলাদের ইজ্জত রক্ষায় সাহায্য প্রার্থনা করবনা?
অপরদিকে কোরআনকে অবমাননা ও লাঞ্চিত করায় যেমন সাঈদের দুনিয়া থেকে
লাঞ্চনাদায়ক মৃত্যু হয়েছে। ঠিক সেইভাবে কোরআনকে বাঁয়ে রেখে নিজ মতে যদি
জীবন পরিচালনা করি। তাহলে ইভটিজিং, ধর্ষণ, অবৈধ প্রেমে গুম ও হত্যা ছাড়া
আর কি আশা করা যেতে পারে? আল্লাহ আমাদের সঠিক দ্বীন বুঝার তৌফিক দান
করুন!!
কোরআনে পাকে আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেন- “নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি
এবং এর হেফাজতের দায়িত্ব আমার হাতে”।
ভারতীয় উপমহাদেশে পাকিস্তান ও ভারত নামে দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়। মুসলিম
জাতি যেতে থাকে পাকিস্তানে এবং হিন্দুরা যেতে থাকে ভারতে। এর মধ্যে
নন্দিনী ও গঙ্গার ভারত যেতে চিঠি আসে স্বদেশ ত্যাগকৃত আত্মীয়স্বজন থেকে।
এই ছোট্ট পরিবারটির সাথে গভীর সম্পর্ক ছিল মুসলিম পরিবার সাঈদের। সরল-সহজ
হিন্দু পরিবারটির ভারত যাওয়ার ঘটনাটি; বিশ্বাস করে বলল। মুসলিম নামধারী
মুনাফিক সাঈদের কাছে। কিন্তু বিশ্বাসঘাতক সাঈদের গভীর সম্পর্কের একমাত্র
কারণ ছিল সুন্দরী হিন্দু অসহায় নারী নন্দিনীর ভালবাসা। প্রেমিকাকে কাছে
না পাওয়ার চিন্তায় চিন্তিত হয়ে ফন্দি নিল শয়তানি কাজের। তাই সাঈদ সাহস
দিয়ে হিন্দু পরিবারটিকে পাকিস্তানে থাকতে অনুরোধ জানায়। কথায় বলা
হয়-“শত্রু যদি কোন উপকার করে, মনে করতে হবে এর পিছনে কোন কঠিন স্বরযন্ত্র
রয়েছে”। এই কথার প্রেক্ষিতে নন্দিনীর স্বামী গঙ্গার মনে সাঈদের উপকারকে
সন্দেহ করে; নিজের মাঝে সন্দেহটা সীমাবদ্ধ রেখে নন্দিনীকে গোপনে ভারত
যেতে প্রস্তুত থাকতে বলে। কোন একদিন গোপনে ভারত যেতে গাড়ি আনতে যায়
গঙ্গা। এই অবস্থায় সুযোগ বুঝে খানিকটা সময় পর নন্দিনীর কছে হাঁপিয়ে এসে
এই বিশ্বাসঘাতকটা বলে; দিদি দ্রুত বাহির হোন! দাদা আমাকে দিয়ে গাড়ি
পাঠিয়েছেন। সাঈদের প্রতি নন্দিনীর গভীর বিশ্বাস থাকায় বেড়িয়ে গেল তার
সাথে গাড়ি দিয়ে। এতক্ষনে স্টেশনে পৌছে যাওয়ার কথা। কিন্তু গাড়ি না থামায়
নন্দিনী কিছুটা ভয়ে বলে উঠে সাঈদ দাদা! স্টেশনের রাস্তা ছেড়ে কোথায়
যাচ্ছেন? প্রতারণার হাসি দিয়ে সাঈদ বলল, দিদি ভয় পাবেন না। আমরা যেন
পাকিস্তানি সৈন্যদের কাছে ধরা না পড়ি, সেজন্য এ দিক দিয়ে যাচ্ছি।
কিছুক্ষন পর গাড়ি থামলে। বিশ্বাসঘাতক সাঈদ বলে উঠে, আমার ভালবাসা, আমার
জান; নেমে এসো! নন্দিনীর কলিজাটা ভয়ে যেন মাটিতে পড়ে গেল। নামতেই টানতে
লাগে আপন দিকে, নিজের নফসের খুশিতে। নিয়ে গেল পাহাড়ের এক ঠিলার নিচে।
ইজ্জত রক্ষার জন্য ড্রাইভারের সাহায্য চেয়েও পার পেলনা নন্দিনী। কারণ
ড্রাইভারও সাঈদের সহকর্মী। যেভাবেই হোক বাঁচতে চেয়ে সাঈদের হাতে সজোরে
কামড় দেয়ায় সাঈদ শিকারকে ছেড়ে দিয়েও ভাবল, চলে যাচ্ছে; এ সুযোগ আর হবে
না। তাই দৌড়ে ধরে ফেলে নন্দিনীকে। কিছু না করতে পেরে নন্দিনীর হঠাৎ নজর
গেল ছোটকালে তার মার দেয়া তাবিজের দিকে। যা কিনা সূরা ইয়াসিনের তাবিজ
ছিল। সর্বশেষ বাঁচার পথ না পেয়ে নন্দিনী এ সূরা ইয়াসিনের দোহাই দিলে সাঈদ
ওটাকে দূরে ছুড়ে ফেলে এবং এই অসহায় মহিলাটিকে বিবস্ত্র করে। না করার কিছু
থাকায় গোপনে ডাকতে থাকে আল্লাহকে। হঠাৎ ফুটে উঠে সাঈদের কণ্ঠে আর্ত
চিৎকার। ঢলে পড়ে নন্দিনীর গায়ে। বিবস্ত্র নন্দিনী এ অবস্থায় দেখে একটি
বিষাক্ত সাপ সাঈদের পায়ে দংশন করছে। ঘটনা দেখে ড্রাইভার দৌড়ে এসে
তাবিজটিকে ভক্তি-সম্মানের সাথে বুকে জড়িয়ে ধরে, চুমু খায়। যে নন্দিনীকে
সাহায্য করতে অস্বীকার করেছিল। এখন হয়তো সাপের ভয়ে তার মাথার পরিহিত
পাগড়ি দ্বারা নন্দিনীর শরীর ঢেকে বাসায় নিয়ে গেলে। দেখতে না পেয়ে গঙ্গা
অস্থির হয়ে গেছে তার স্ত্রীর জন্য। দেখতে পেয়ে গঙ্গা বিলম্বের কারণ জানতে
চাইলে পিছনের সব ঘটনা খুলে বলে নন্দিনী। উভয়ের মনে শুরু হল ইসলামের প্রতি
ভালবাসার ঝড়। পাল্টে দেয় ভারত যাত্রার ইচ্ছা। উভয়েই বলতে লাগল কোরআন যদি
এভাবে ইজ্জত রক্ষার্থে সাহায্য করতে পারে। তাহলে আমাদের জীবনও কোরআনের
নূরে নূরান্বিত করতে চাই। চল যাই! কেন্দ্রিয় মসজিদের হুজুরের কাছে গিয়ে
ইসলাম গ্রহণ করে পূর্ণ মু’মিন হয়ে যাই।
প্রিয় পাঠক! সনাতন ধর্মে থাকা সত্ত্বেও যদি কোরআনের মালিকের সাহায্য চেয়ে
ইজ্জত রক্ষা করতে পারল। তাহলে আমরা মুসলিম জাতি হয়ে কেন মহান প্রভুর কাছে
আমাদের বিশেষ করে মহিলাদের ইজ্জত রক্ষায় সাহায্য প্রার্থনা করবনা?
অপরদিকে কোরআনকে অবমাননা ও লাঞ্চিত করায় যেমন সাঈদের দুনিয়া থেকে
লাঞ্চনাদায়ক মৃত্যু হয়েছে। ঠিক সেইভাবে কোরআনকে বাঁয়ে রেখে নিজ মতে যদি
জীবন পরিচালনা করি। তাহলে ইভটিজিং, ধর্ষণ, অবৈধ প্রেমে গুম ও হত্যা ছাড়া
আর কি আশা করা যেতে পারে? আল্লাহ আমাদের সঠিক দ্বীন বুঝার তৌফিক দান
করুন!!
No comments